গাজায় ২৫ হাজার নারী-শিশু হত্যা করেছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েল ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। যদিও ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ভূখণ্ডটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
অবশ্য গাজায় ইসরায়েলের নিরলস বর্বর হামলা এখনও চলছে এবং এতে করে ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।
এএফপি বলছে, বৃহস্পতিবার মার্কিন হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানির সময় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের হত্যার পরিসংখ্যান জানতে চাওয়া হয় লয়েড অস্টিনের কাছে। জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটি ২৫ হাজারেরও বেশি।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত, গত বছরের অক্টোবরে হামাসের নজিরবিহীন সেই হামলার জবাবে ইসরায়েলি বর্বর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে জোরালো সমর্থন করে চলেছে।
এছাড়া সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির জোর চেষ্টা চললেও চলতি মাসেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলজেরিয়ার উত্থাপিত ‘গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে’ ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।