টিভি-ফ্রিজও নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে!
মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ৩ দশমিক ৭৫ গুণ, যা ১৫ বছরে বৃদ্ধি ১১ দশমিক ৬৩। সর্বশেষ মেয়াদে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ এবং ১৫ বছরে বেড়েছে ১০ গুণের বেশি। অগাধ সম্পদের মালিক হলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নেই টেলিভিশন, ফ্রিজের মতো কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী।
২০০৮, ২০১৮ ও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাহিদ মালেকের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা গেছে। ২০০৮ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে জয়ী হয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। এবারও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বর্তমান বার্ষিক আয় ৮ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৫ টাকা, যা ২০০৮ সালে ছিল ৭১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯১। এ হিসাবে গত ১৫ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা, শতাংশে বৃদ্ধি ১১ দশমিক ৬৩ গুণ।
বর্তমানে জাহিদ মালেকের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৭০ কোটি ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬১ টাকার, যা ২০০৮ সালে ছিল ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭। এ হিসাবে গত ১৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০৪ টাকা, শতাংশে বৃদ্ধি ১০ দশমিক ৩৭ গুণ। তবে ১৫ বছরে স্থাবর সম্পদে কোনো হেরফের হয়নি। ২০০৮ সালে জাহিদ মালেকের ২ দশমিক ৫ কাঠা অকৃষি জমি, ৫৩ দশমিক ৪ শতক জমিতে ১১তলা আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবন, যৌথ মালিকানায় ৪০ বিঘা কৃষিজমি এবং স্ত্রী শাবানা মালেকের নামে ২ দশমিক ৫ কাঠা জমির একটি প্লট ছিল, যা এবারের হলফনামাতেও একই রয়েছে। তবে স্ত্রীর ও যৌথ মালিকানার জমি নির্ভরশীলদের নামে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯ টাকা ঋণ রয়েছে, যা ২০০৮ সালে ছিল ২৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৮০। গত ১৫ বছরে তাঁর ১ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার ৭৯৯ টাকার ঋণ বা দায় বেড়েছে।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটিই সত্য, হলফনামা অনুযায়ী বর্তমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী নেই। অথচ ২০০৮ সালে তাঁর ১ লাখ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল। তাঁর নামে নেই কোনো মামলাও।
গত ১৫ বছরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্ত্রী শাবানা মালেকের অস্থাবর সম্পদ প্রায় ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা কমেছে। ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার ৩০০ টাকার বন্ড থাকলেও এবার তা নেই। এ সময়ে স্বর্ণ বেড়েছে ৫ ভরি।





