আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে মমতাজের
মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর, হরিরামপুর ও সদর) আসনের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের গত পাঁচ বছরে আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে। তবে কমেছে ঋণের পরিমাণ।
এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম তৃতীয় বারের মতো এবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে করতে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশের আদালতে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও ভারতের কলকাতার হাইকোর্ট ও বহরমপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ২য় আদালতে মামলার আসামি তিনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা ও তার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য বিবরণী বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, মমতাজ বেগম সংসদ সদস্য ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও আনুষঙ্গিক পারিতোষিক বাবদ তিনি বছরে আয় করেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে মমতাজ বেগমের হাতে আছে নগদ ৫ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৮ টাকা। মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার আছে তার। সঞ্চয়পত্র আছে ৪৫ লাখ টাকার।
মমতাজ বেগমের নামে গাড়ি আছে তিনটি। ল্যান্ডক্রুজার নামে একটি গাড়ির দাম ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজর ৫০০ টাকা। এছাড়া ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮ মডেলের গাড়ির দাম ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ২৮ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা হাইয়েস আছে তার। নির্ভরশীলদের নামে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজের শেয়ার আছে ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার। মমতাজ বেগমের পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ।
২০১৮ সালে তার বাৎসরিক আয় ছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা। বর্তমানে তার আয় দেখানো হয়েছে ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। এর মধ্যে তার পেশা থেকে আয় বছরে ৭ লাখ টাকা। বাকিটা কৃষি খাত থেকে ৩ লাখ, বাড়ি এপার্টমেন্ট অথবা দোকান ভাড়া থেকে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৭ টাকা এবং শেয়ার সঞ্চয়পত্র অথবা ব্যাংক আমানত থেকে আসে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯১ টাকা।
৫ বছরে প্রায় ৫২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ঋণের পরিমাণ কমেছে মমতাজের। ২০১৮ সালে মমতাজের ব্যাংক ঋণ ছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৪৬৪ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় ব্যাংক ঋণ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। ভারতের বহরমপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে এবং কলকাতার হাইকোর্টে মমতাজের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা চলমান আছে।
কৃষি জমি না বাড়লেও পাঁচ বছরে মমতাজের ৭০০ শতাংশ অকৃষি জমি কমেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী তার অকৃষি জমি ছিল ১২০০ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০০ শতাংশে। মহাখালীতে পাঁচতলা বিশিষ্ট এবং সিংগাইরের জয়মন্টপ এলাকায় দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি আছে মমতাজের। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ টাকা।
হলফনামায় নিজের পরিচয়ে মৃত বাবার নাম উল্লেখ থাকলেও মমতাজের স্বামীর নামে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৮ লাখ টাকা এবং ১৩০০ সিসি ফান কার্গো নামে একটি গাড়ি দেখানো হয়েছে। গাড়িটির মূল্য ৮ লাখ টাকা।