বিএনপি সন্ত্রাসী দল, তারা ক্ষমতায় এলে দেশকে খুবলে খাবে
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশকে খুবলে খাবে। তাদের ব্যাপারে দেশের মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই সংবিধান স্থগিত করে মার্শাল ল’ জারি করে। তারা গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন করে দিয়েছে যার অধীনে এখন দেশে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
মানুষ যখন ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তারা সঠিক জায়গায় ভোট দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি সিট পায়। আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহার অনুযায়ী প্রতি বছর বাজেট প্রণয়ন এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অবাক লাগে আজ আন্তর্জাতিকভাবে অনেক কথা বলে। আমার প্রশ্ন, যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা নির্বাচনকে কলুষিত করেছে তখন কোথায় ছিল তারা? তখন তো কিছু বলতে শুনিনি এই দেশগুলোকে। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে হয়েছে। নির্বাচনে অবৈধভাবে জেতার জন্য বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে জনগণের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলেছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংগ্রাম করে গেছে। আর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি জনগণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এটিই আমাদের স্লোগান।





