দুঃসংবাদ দিলেন লায়লা নাঈম
পেশায় দন্ত চিকিৎসক নায়লা নাঈমের শোবিজে পথচলা শুরু হয় র্যাম্প মডেল হিসেবে। এরপর ‘আইটেম গার্ল’ হয়ে কাজ করেন বেশ কিছু সিনেমায়। হন আলোচিত-সমালোচিতও। এই শিল্পীর আরও একটি পরিচয় তিনি একজন পশুপ্রেমী। তার বাসায় একাধিক বিড়াল থাকার কারণে আইনের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাকে।
অভিনয়ে আগের মতো খুব একটা নিয়মিত নন নায়লা নাঈম। তবে তার কাজের সবশেষ খোঁজ-খবর পাওয়া যায় ফেসবুকে। যোগাযোগের এই মাধ্যমটিতে বেশ সক্রিয় তিনি। আর এই মাধ্যমেই আলোচিত মডেল জানালেন, দুঃসংবাদ; তার আদরের বিড়ালটি আজ শনিবার মারা গেছে।
নায়লা নাঈম জানান, আজকে থেকে প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে ইভা ফারজানার সঙ্গে তার পরিচয়। তখন তার ক্লিনিকের শুরুর সময়। ইভার এক ছোট ভাই তার ক্লিনিকে একটা ঝুড়িসহ বিড়াল রেখে যায়। বয়স প্রায় ৮-৯ মাস হবে। সেই বিড়ালটি তিনি বাসায় নিয়ে যান। পরিবারের সবাই আদর করে নাম দেয় ‘গলু’ আর নায়লা নাঈম ডাকত ‘আলাদিন’ নামে।
এই মডেলের কথায়, ‘দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে গলু আমার সঙ্গে। হঠাৎ করে দুই দিন আগে দুপুরবেলা খাবার দিচ্ছিলাম। দেখলাম, খাবার না খেয়ে গলু লুকানোর জায়গা খুঁজছে। আমি একটু ধমক দিলাম। এরপর খেয়াল করে দেখলাম, ওর পেটটা একটু ফুলে যাচ্ছে। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই ওর পেটটা অস্বাভাবিক ফোলা শুরু হলো। পরদিন ভোরবেলায় নিয়ে দৌড় দিলাম পশু হাসপাতাল।’
নায়লা নাঈম আরও বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে অনেকগুলো টেস্ট এবং এক্সরে করা হলো। পরের দিন ব্লাড টেস্ট করালাম এবং এর রিপোর্ট আজকে দেওয়ার কথা। গতকালকে সন্ধ্যা থেকে গলু আর উঠে দাঁড়াতে পারছে না। যেখানে শুয়ে ছিল ওখানেই আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেল। সকালবেলা টিনটিন আপুকে ফোন দিয়ে কেঁদে ফেললাম অনেক। আমার পরপর দুইটা ১৫ বছর ও ১৬ বছরের বিড়াল চলে গেল, একই মাসের ব্যবধানে।’