হবিগঞ্জে থানার ভেতরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
হবিগঞ্জের মাধবপুর থানা সভাকক্ষের একটি সালিশে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় মাধবপুর থানা সভাকক্ষে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ পরিদর্শক, ২ উপ-পরিদর্শক, ৩ কনস্টেবলসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় মাধবপুর থানা সভাকক্ষে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আতিকুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সাহা, এসআই শুভ দে, পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আহসান হাবিব, মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাব আহ্বায়ক এরশাদ আলী, ইউপি সদস্য বেনু মিয়া, ইউপি সদস্য মতুর্জ আলী, বেজুড়া গ্রামের সানাউল্লা, গেদু মিয়া ও কামাল মিয়া। সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ সভা কক্ষের ভেতরে প্লাস্টিকের চেয়ার ও পাথর নিক্ষেপ করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। থানার ভেতরে এরকম মারামারির ঘটনায় মাধবপুরে প্রথম ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ থেকে সরকারি অর্থায়নে বেজুড়া গ্রামে জজ মিয়ার বাড়ির সামনে গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য পুকুর পাড়ে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই গ্রামের লাল খার ছেলে হেলাল মিয়া গাইড ওয়াল নির্মাণে আপত্তি জানায়। পরে জায়গা বদল করে রইস আলী পুকুরের পাড়ে গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য জায়গা নিবার্চন করা হয়। এ সময় রইস আলীকে হেলাল মিয়া আবার বাঁধা দেন। এ ঘটনায় হেলাল মিয়া বেজুড়া গ্রামের রইস আলীর ছেলে আলেফ খাকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের আলোকে শুক্রবার বেলা ১১টায় পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান থানা সভাকক্ষে উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালে ইউপি সদস্য আরজু মিয়া মেম্বার ও সিরাজ আলীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। বাগবিতণ্ডার এক পযার্য়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সভাকক্ষের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। দুই পক্ষ চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। এতে পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রহমানসহ ৫ পুলিশ আহত হন।
মাধবপুর থানা পুলিশের অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বেজুড়া গ্রামের গাইডওয়াল নিয়ে বিরোধের ঘটনায় উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১৪ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মাধবপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।





