সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আনোয়ারুজ্জামানের আর্থিক অনুদান
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারের কুতুবপুর এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক আর্থিক অনুদান দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (৭জুন) সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
পরে হাসপাতালে গিয়ে হতাহতদের খোঁজ খবর নেন।এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে হতাহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিক আপের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১৩ জন নিহত হয়েছেন।হসপাতালে নেয়ার পর আরো ১ জনের মৃত্যু ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।বুধবার (৭ মে) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত ১৪ জন পরিচয় পাওয়া হেছে তারা হলোন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৫), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২) সহ ১৪ জন।





