সিসিক নির্বাচন: একসঙ্গে কাউন্সিলর প্রার্থী দুই ভাই
সিলেটে এক পরিবারের দুই ভাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। সিসিক নির্বাচনে ভিন্ন দুটি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছেন মো. বাবুল খান ও মোহাম্মদ রানা আহমেদ নামের দুই ভাই। তাদের একজন নগরের পূর্ব পাঠানটুলার এবং অন্যজন শ্রাবণী এলাকার বাসিন্দা। অল্প দূরত্বে দুজনের বাসা হলেও দুই ওয়ার্ডে পড়েছে দুটি বাসা।
রানা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এবং বাবুল ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ জন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রানার পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছেন আরো আটজন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, সুমন ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান আবির, ফয়জুল হক, সাব্বির খান, বিদ্যুৎ দাস ও সুদীপ রঞ্জন দেব।
অন্যদিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাবুল ছাড়া এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর মো. মখলিছুর রহমান কামরান।
জানা গেছে, প্রয়াত মো. আলী আকবর ও মণি বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বাবুল খান মেজো এবং রানা আহমেদ শিপলু ছোট। বাবুল খান নগরের বৃহত্তর মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায়ীসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি। দুই ভাই পৃথক দুটি ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ায় আলাদাভাবে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকতে হবে। তাই একজন আরেকজনকে ইচ্ছা থাকলেও নির্বাচনী প্রচারে সহযোগিতা করতে পারবেন না।’
ছোট ভাই মোহাম্মদ রানা আহমেদ স্থানীয়ভাবে যুবলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত উন্নয়ন কাজ হয়নি।
এ অবস্থায় কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি মনস্থির করে কয়েক বছর আগে থেকেই কাজ করছেন। নির্বাচিত হলে আদর্শ ওয়ার্ড গড়ায় ভূমিকা রাখতে চাই।’
দুই ভাই প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য বলা কঠিন। এলাকাবাসীর অনুরোধে নিজেদের অবস্থান অনুযায়ীই আমরা প্রার্থী হয়েছি। দুঃখের বিষয় হতো ভাইয়েরা কেউ কারো পক্ষে প্রচারকাজ করতে পারব না। সহযোগিতা করতে পারছি না।’





