নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ৭৪
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার বেনু রাজ্যে বন্দুকধারীদের পৃথক দুই হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সন্ত্রাসী হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির এই তথ্য জানিয়েছেন।
নাইজেরিয়ার ওই রাজ্যে প্রায়ই পশুপালক ও কৃষকদের মাঝে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এই হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কৃষি জমি সম্প্রসারণে করতে গিয়ে গত কয়েক বছরে ওই এলাকায় পশুপালক ও কৃষকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। কৃষি জমির সম্প্রসারণের কারণে গবাদি পশুপালনের জন্য খোলা চারণভূমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় সম্প্রতি এই সংঘাত চরমে পৌঁছেছে।
বেনু রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র ক্যাথরিন অ্যানেন বলেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এমগবানের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকজনের জন্য তৈরি করা একটি আশ্রয় শিবির থেকে ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কী কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বন্দুকধারীরা সেখানে পৌঁছে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
এর আগে, গত বুধবার একই রাজ্যের ওটুকপোর স্থানীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকার প্রত্যন্ত উমোগিদি গ্রামে পৃথক হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ওটুকপোর চেয়ারম্যান বাকো ইজে রয়টার্সকে বলেন, সন্দেহভাজন পশুপালকরা একজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়া গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে।
বেনু রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পল হেমবা বলেছেন, বুধবারের হামলার পর ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উমোগিদি সম্প্রদায়ের দশজনসহ অন্যদের প্রাণহানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নাইজেরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ধরনের অনেক হামলার ঘটনার খবর পাওয়া যায় না। নিরাপত্তা বাহিনীর জনবল সংকটের কারণে প্রায়ই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে লোকজন হামলার শিকার হলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের সহায়তা মিলে না।