সাত ঘণ্টা অন্ধকারে হবিগঞ্জ শহরবাসী
বিদ্যুৎ বিভাগের ১৫ মিনিটের মেরামত কাজ যথাসময়ে না করায় সাত ঘণ্টা অন্ধকারে থাকতে হলো ১০ হাজার পরিবারকে। হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় তারা ইফতার ও তারাবি নামাজ পড়ার সময় ভোগন্তিতে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টায় শায়েস্তানগর চিড়িয়াখানা রোডে স্থাপিত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ট্রান্সফরমারটির ফিউজ পুড়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সোয়া ১১টায় ফিউজটি মেরামতের পর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। মেরামতের এই কাজ করতে শ্রমিকদের সময় লেগেছে মাত্র ১৫ মিনিট।
শায়েস্তানগর এলাকার তামান্না চৌধুরী বলেন, ট্রান্সফরমারের ফিউজটি প্রায়ই পুড়ে যায়। আবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময়ের ভেতরেই দায়িত্বরতরা তা ঠিক করে দেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তারা প্রায় ৭ ঘণ্টা পর এসে কাজটি করেছেন। এতে তারাবির নামাজ ও ইফতারসহ দৈনন্দিন কাজ করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বিপিডিবির কার্যালয় ঘেঁরাওয়ের প্রস্তুতি নেন। পরে স্থানীয় মুরুব্বিরা তাদের শান্ত করেন।
এ বিষয়ে বিপিডিবির অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, শটডাউনের স্লট খুঁজে না পাওয়ায় ফিউজটি মেরামত করতে সময় লেগেছে।
তবে বিপিডিবির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, একটি ট্রান্সফরমারের ফিউজ মেরামত করতে হলে কিছুক্ষণের জন্য পুরো শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে হয়। তাই তারাবির নামাজে মুসল্লিদের সুবিধার কথা চিন্তা করে কাজটি করতে বেশি সময় লেগেছে।