নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে: ৮ দল
নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা না হলে দলগুলো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আট দলের তরফে বক্তব্য তুলে ধরেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আটদলের সংবাদ সম্মেলনেও জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকারের তিন উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোট প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করছেন। এই ‘মিসগাইডিং’ ভূমিকার কারণেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত হচ্ছে না বলে আট দল মনে করছে। আর সেই কারণেই জোট ঘোষণা দিয়েছে—প্রতিশ্রুত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ পাওয়া না পর্যন্ত রাজপথের কর্মসূচি চলবে।
সব কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে সময়মতো আমরা তিন বিতর্কিত উপদেষ্টার নামও বলব। আমাদের কাছে তথ্য–প্রমাণ আছে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকারকে এখনই সজাগ হতে হবে, নইলে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনের বহু জায়গায় এখনো দলীয় পক্ষপাত চলছে। এর সঙ্গে তিন উপদেষ্টার প্রভাব–প্রতিপত্তি মিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আট দলীয় জোটের মত, এই অবস্থায় নির্বাচন অবাধ–সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, তার দায় সরকারের।
জায়াতের সাবেক এই এমপি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চাই বলেই আমরা মাঠে আছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না এলে আমাদের কর্মসূচি থাকবে। আমাদের মূল দাবি তিনটি এখনো পূরণ হয়নি— লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। ফ্যাসিবাদে দোষীদের বিচার হয়নি এবং প্রশাসনে দলীয় পক্ষপাত রয়ে গেছে। এসব ইস্যুতে আট দলীয় জোটের স্টিয়ারিং কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করে ঘোষণা দেবে।
আন্দোলন নির্বাচনে কোনো বিঘ্ন ঘটাবে না, বরং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার পথ আরও পরিষ্কার করবে বলেও দাবি করেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, কমিশনের যে মূল সংস্কারগুলো আছে, সেগুলোর পক্ষে আমরা শুরু থেকে আছি। এগুলো ভোটারদের সামনে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে হবে। প্রচারপত্র, জাতীয় প্রচারমাধ্যম ও ‘ওপেন কমিউনিকেশনের’ মাধ্যমে সরকার ও ইসি স্পষ্ট করে বলুক—এই সংস্কারগুলো কেন জরুরি। না হলে জনগণের বড় অংশ বিষয়টি বুঝতে পারবে না।
জামায়াত ছাড়া আট দলের বাকি শরিকরা হল-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশ ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।





