চাপ দিয়ে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে: নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, কিছু ব্যক্তি যোগসাজশে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে বলেন।
নুরুল হক নুর দাবি করেন, ‘জনকণ্ঠ’ দখলের ন্যায় ‘মাই টিভি’ দখলেও কিছু ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজশে নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। এ সময় তারা নগদ ৫ কোটি কিংবা শেয়ার লিখে নেয়ার দেনদরবার চালিয়েছিল, সমঝোতায় মিলেনি। এরপর ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল মবের মাধ্যমে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এ গ্রেপ্তার কার্য সম্পন্ন হয়েছে।
এনসিপির চার নেতার পদত্যাগ
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে যাত্রাবাড়ী থানার ‘ছাত্র হত্যা’ মামলায় আসামি করে এক বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, মামলার বাদী কি জানে এই মামলায় কাকে আসামি করা হয়েছে এবং তারা কি প্রমাণ করতে পারবে যে আফ্রিদি বা তার বাবা ছাত্র হত্যা করেছেন। নুর আরও উল্লেখ করেছেন, আফ্রিদি যদি কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কিছু করে থাকে, তবে সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট মামলা দেওয়া যেত।
নুর জানান, স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না থাকার কারণে এই গ্রেপ্তার দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সংস্থার নজরে আসবে। এ ধরনের ঘটনা প্রশাসনের অন্যায় সিদ্ধান্ত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত ২৪ আগস্ট রাতে বরিশাল থেকে সিআইডি তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। ২৬ আগস্ট আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি লাইভ প্রচারে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং সরকারপন্থী শক্তিকে মদদ জোগান, যার জেরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু নিহত হন। এই মামলায় নিহতের বাবা গত ৩০ আগস্ট ২০২৪ সালে শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এবং তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। ১৭ আগস্ট গুলশান থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।