পিএসজি না চেলসি কার হাতে উঠবে শিরোপা?

দীর্ঘ এক মাসের লড়াই শেষে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছে শেষ দুই দল—প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) এবং চেলসি। রোববারের ফাইনালে দুই ইউরোপীয় জায়ান্ট মুখোমুখি হবে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে থাকবে উত্তেজনা, রোমাঞ্চ আর গ্ল্যামারের ছটা।চেলসির তরুণ দল, ম্যানেজার এনজো মারেস্কার সাহসী নেতৃত্বে, প্রথম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমিয়ে তুলেছে। ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে ৩-১ ব্যবধানে হারের ধাক্কা সামলে, বেনফিকা, পালমেইরাস ও সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা। সেমিফাইনালে নতুন সাইনিং জোয়াও পেদ্রোর জোড়া গোল পুরো দলকে আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে দিয়েছে।
তবে চেলসির রক্ষণের দুর্বলতাও স্পষ্ট। প্রতিটি নকআউট পর্বেই গোল খেয়েছে তারা, যা পিএসজির মতো বিধ্বংসী আক্রমণভাগের বিপক্ষে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে, মিডফিল্ডার ময়সেস কাইসেদোর ইনজুরি ফাইনালের আগে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ।
অন্যদিকে, পিএসজি যেন একেবারে অপ্রতিরোধ্য। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হারানোর পরও লুইস এনরিকে যে শক্তিশালী দল গড়েছেন, তা চমকে দিয়েছে ফুটবল দুনিয়াকে। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ ওয়ান—সব জায়গাতেই দাপট দেখানো পিএসজি এরই মধ্যে ১৬টি গোল করে ফাইনালে উঠেছে।
ইন্টার মায়ামি ও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানের জয় তাদের আত্মবিশ্বাসের পরিচয়। বিশেষ করে, উসমান দেম্বেলের দুর্দান্ত ফর্ম পিএসজির আক্রমণকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।সঙ্গে খভিচা, ফাবিয়ান রুইজ এবং নতুন উদীয়মান তারকা দেজিরে দোয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ঘুম হারাম করে তুলেছেন।
পিএসজির মিডফিল্ডে ভিতিনহা, রুইজ ও জোয়াও নেভেসের ত্রয়ী এই মৌসুমে বারবার প্রমাণ করেছে কেন তারা ইউরোপের সেরা। দুই উইং-ব্যাক নুনো মেন্ডেস ও আকরাফ হাকিমির গতির ঝড় চেলসির ফুল-ব্যাকদের জন্য হবে বড় পরীক্ষা।
কাগজে-কলমে পিএসজিই ফাইনালের ফেভারিট। তবে ফুটবলের চিরাচরিত নিয়ম, এখানে কোনো কিছুই আগে থেকে বলা যায় না। চেলসি কি পারবে ফাইনালে পিএসজিকে চমকে দিতে? নাকি ‘পারফেক্ট সিজন’ সম্পূর্ণ করে ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন’ উপাধি তুলে নেবে প্যারিসের ক্লাবটি?
রোববার রাতের ফাইনাল ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে চূড়ান্ত উত্তেজনা। ইতিহাসের পাতায় কে নাম লেখাবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। ফাইনাল শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।