যে চার ধরনের পশু ছাড়া কোরবানি হয় না
ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির হাট বসবে। কোরবানির পশু কিনতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
প্রথমে জানতে হবে, কোন কোন পশু কোরবানির জন্য সহিহ। তিন ধরনের চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে কোরবানি করা যাবে। তা হলো ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা, গরু বা মহিষ এবং উট।
কোরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য পশু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে। কোরবানির পশু সব ধরনের শারীরিক ত্রুটিমুক্ত হওয়া জরুরি। গুণগত দিক থেকে উত্তম হলো, পশুটি দেখতে সুন্দর, নিখুঁত বা দোষত্রুটি মুক্ত ও হৃষ্টপুষ্ট। যে পশু দেখলে পছন্দ হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শিং বিশিষ্ট ও মোটাতাজা একটি মেষ কোরবানি করেছেন। এর চেহারা, পা ও চোখ ছিল মিটমিটে কালো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৮)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সব জাতির জন্য কোরবানির বিধান রেখেছি, যেন আমি তাদের জীবনোকরণ হিসেবে যে চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছি তাতে (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (সুরা হজ, আয়াত : ৩৪)
কোরবানির জন্য পশুর নির্দষ্ট বয়সও রয়েছে। যেমন উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হতে হবে।
নাফে (রহ.) বর্ণনা করেছেন, আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) কোরবানি, হজ ও ওমরার পশুর ক্ষেত্রে উটের বয়স পাঁচ বছর, গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর এবং ছাগল, দুম্বা ও ভেড়ার ক্ষেত্রে এক বছর বয়স হওয়ার কথা বলতেন। (মুয়াত্তা মালেক, হাদিস : ৭৫৪)
তবে ছাগল ও ভেড়া এক বছর পরিপূর্ণ না হয়ে বছরের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হয় এবং দেখতে এক বছরের বাচ্চার মতো মনে হয় তাহলে এ ধরনের দুম্বা ও ভেড়া দিয়ে কোরবানি জায়েজ। ছাগলের বয়স এক বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ হবে না। (ফাতাওয়ায়ে কাজিখান : ৩/৩৪৮, বাদায়িউস সানায়ে : ৪/২০৫-২০৬)





