গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে তোপের মুখে বিইআরসি
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানি চলাকালে এ কার্যক্রমকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে হট্টগোল করেন এতে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা।
মূলত, নতুন শিল্প কারখানার বয়লার ও শিল্প কারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ করা গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনসহ (পেট্রোবাংলা) দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। সেই প্রস্তাবের উপর বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে শুনানি শুরু করে বিইআরসি।
তবে, এ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে অংশীজনরা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ালে বিনিয়োগ-ব্যবসা-বাণিজ্য আর শিল্প খাত হুমকির মুখে পড়বে। যার ফলে সার্বিকভাবে ব্যাহত হবে দেশের অর্থনীতি।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আগামী রোববারের মধ্যে খারিজ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, দাবি না মানলে এ আবেদন আন্দোলনে রূপ নিতে পারে।
এদিকে শুনানি বাতিলের দাবিতে একই ভবনের নিচে মানববন্ধন করছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। একইসঙ্গে এ ধরনের পদক্ষেপকে প্রহসন দাবি করে শুনানি বয়কট করেন তারা। এসময়, অন্তর্বর্তী সরকারের গণশুনানি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির নয় বরং গ্যাসের চুরির বিরুদ্ধে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের সদস্যরা।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, শুধু জ্বালানি নয়, এইভাবে সব পণ্য আমদানি করে দেশটা আমদানি নির্ভর করে ফেলা হচ্ছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ভয়ংকর গণবিরোধী। এই প্রস্তাবের ওপর কোনও গণশুনানি হতে পারে না। এটি বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, একলাফে তিন গুণ দাম বৃদ্ধি হলে নতুন কোনো শিল্প হবে না। সরকারকে প্রয়োজনে এখন ভর্তুকি দিতে হবে, দাম বাড়ানো যাবে না।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করতে থাকলে দেশের সব সিএনজি স্টেশন বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেন ক্যাব সদস্যরা।





