গৃহবধূ হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় বহুল আলোচিত গৃহবধূ দিপালী হত্যা মামলায় ওসমান আলী ও রবিউল ইসলাম নামের দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আদিব আলী এ রায় দেন। এ সময় মামলার অন্য চার আসামিকে খালাস প্রদান করে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাতীবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হলদিবাড়ী এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ওসমান আলী (৫২) এবং একই এলাকার মেছের আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪১)।
মৃত গৃহবধূ দিপালী দেব সিংহ হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব বেজগ্রাম এলাকার পরিমল দেব সিংহের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ জুলাই নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন দিপালী দেব সিংহ। নিখোঁজের তিন দিন পর উপজেলার দক্ষিণ হলদিবাড়ী এলাকার তিস্তার চর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর দিপালীর ভাসুর বিমল চন্দ্র দেব সিংহ বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই ঘটনায় প্রেমিক রিকন মিয়াসহ রমজান আলী, নজরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও ওসমান আলীকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দিপালী দেবী সিংহর সাথে রিকন মিয়ার মোবাইল ফোনের মিস কল থেকে ৩ বছর আগে প্রেমের সূত্রপাত। ২০২০ সালের গত ৯ জুলাই রিকন মিয়াকে বিয়ে করতে সন্তান ও স্বামী ছেড়ে দিপালী দেবী সিংহ তার স্বামীর ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে দিপালী দেবী ওই এলাকার আফজাল হোসেনের পুত্র রমজান আলী ও ধনর উদ্দিনের পুত্র নজরুল ইসলামের শরণাপন্ন হন। রমজান আলী ও নজরুল ইসলাম দুজনে দিপালী দেবীকে নিয়ে ওইদিন রাতে পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হলদিবাড়ী এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র ওসমান আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন।
লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দিপালী হত্যা মামলার রায়ে আদালত ওসমান আলী ও রবিউল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি আসামীদের খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।