বঙ্গভবন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, বসানো হলো কাঁটাতারের বেড়া
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বঙ্গভবনের আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নতুন করে কাঁটাতার বসানো হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বঙ্গভবনের আশেপাশে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সেনাবাহিনী ও বিজিবির পাশাপাশি র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের বিক্ষোভ বা আন্দোলনের প্রয়োজন নেই বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না এ প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
এদিকে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলন করে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ছাত্রজনতা। রাত ৮টার দিকে তাদের মধ্যে কিছু আন্দোলনকারী বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় গাছের শুকনো ডাল ভেঙে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। একাংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টাও করে। একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্র্যানেডে সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে ও চারপাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, যাতে করে কোনো আন্দোলনকারী ভেতরে ঢুকতে না পারেন। বঙ্গভবনের ফটকের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা রয়েছেন। এ ছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ গোয়েন্দা বাহিনী সদস্যরা রয়েছেন। যাতে করে সেখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটতে পারে।’