ভারতে একের পর এক ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বোমার হুমকি পাচ্ছে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলো। গত ৬ দিনে অন্তত ৭০টি উড়োজাহাজে বোমা থাকার হুমকি মিলেছে। গতকাল শনিবার একদিনেই অন্তত ৩০টি ফ্লাইটে বোমার হুমকি পাওয়া যায়। এ অবস্থায় ভারতের এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ‘বোমা আতঙ্ক’ ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, লাগাতার বোমার হুমকিতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে যাত্রীদের মধ্যে। এয়ারলাইন্সগুলোর পাশাপাশি উদ্বিগ্ন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ও। গত সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০টি উড়োজাহাজ বোমা হুমকির ফোন পেয়েছে।
ফলে বেশির ভাগ ফ্লাইটকে করতে হয়েছে জরুরি অবতরণ। যদিও কোনো ফ্লাইটে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। বারবার এমন বার্তায় বিমানসংস্থাগুলোর যেমন লোকসান হচ্ছে তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার ভারতের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দেশটির এভিয়েশন সেফটি সংস্থা ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)।
বৈঠকে ‘বোমা আতঙ্ক’ মোকাবিলায় এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোকে এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিমালা বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কৃর্তপক্ষের এই পরামর্শ মানতে গেলে বিপত্তির মুখে পড়তে হতে পারে এয়ারলাইন্সগুলোকে। কারণ উড্ডয়নের আগে বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের শরীর ও মালামাল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করতে গেলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হবে এয়ারলাইন্সগুলোর। এতে এয়ারলাইন্সগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজে বোমার হুমকিদাতাদের অবস্থান দেশের বাইরে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ হুমকিদাতার আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল অনুযায়ী অবস্থান যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া হুমকিদাতারা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করছেন।