৩০০ আসনে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন করল ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে দেশের সব ৩০০ সংসদীয় আসনে ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। অনিয়ম অনুসন্ধান এবং নির্বাচনী অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় এসব কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপসচিব মোহাম্মদ দিদার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কমিটিগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এসব কমিটি গঠন করেছে।
ইসি জানায়, গঠিত ৩০০টি কমিটিতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকেই এসব কর্মকর্তাকে নিজ নিজ দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য করা হবে এবং তারা নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন।
কমিটির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের কার্যক্রম প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে শুরু হয়ে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের মতে, মাঠপর্যায়ে বিচারিক ও অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রম জোরদার হলে নির্বাচনী অনিয়ম, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। নির্বাচনকালীন পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এসব কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কমিশন।





