নির্বাচন যেন পেছানো না হয়: ইসিকে এনসিপির আহ্বান
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষিত তারিখ যেন কোনোভাবেই পেছানো না হয়—এমন দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
সকালে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “বুধবার দেশে একটা ইভেন্ট ঘটতে যাচ্ছে। ৩ তারিখে আরেকটি দল সমাবেশের ডাক দিয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এদিকে হাদি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।”
তিনি বলেন, “দেশের যে অস্থিতিশীল অবস্থা রয়েছে, ইসিকে বলেছি ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখের ইলেকশনের যে ডেট ঘোষণা হয়েছে সে তারিখেই যেন ইলেকশনটা সম্পন্ন করতে পারি। এবং এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কী পদক্ষেপ রয়েছে আমরা জানতে চেয়েছি।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, নির্বাচন কমিশন তাদের অবহিত করেছে যে, তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এবং “তাদের সে সক্ষমতা রয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনটা আয়োজন করতে চাচ্ছেন।”
ইসির কাছে দলটির অবস্থান তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “আমরা বলেছি—এই ঘোষিত যে ডেট রয়েছে এর পরবর্তীতে যাতে না পেছায়। যাতে ইলেকশনটা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়। কারণ, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ওয়েতে এবং ভারত বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করে ইলেকশনটাকে পেছানোর চেষ্টা করছে।”
বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন নিয়ে বিদ্যমান জটিলতা এবং গণভোটের প্রচারণা অপর্যাপ্ততার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে পাঁচটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রার্থী ও দলের আচরণবিধি প্রতিপালন, বিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রতিকার, প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন এবং গণভোটসহ সামগ্রিক ভোট পরিবেশ।
তফসিল ঘোষণার পর আগাম প্রচার সামগ্রী অপসারণে কমিশনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মূসা বলেন, “তারপরও বিশেষ করে বড় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা পোস্টারিং করেছিলেন, সেসবের সবগুলো তারা অপসারণ করেননি এবং অনেক জায়গায় নতুন করে পোস্টার লাগানো হয়েছে—সেগুলো আমরা কমিশনের নজরে এনেছি। কমিশন এটি সিরিয়াসলি নিয়েছেন।”
তিনি জানান, জরিমানা ও শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রচারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আচরণবিধি অনুসরণ করছেন দাবি করে তিনি বলেন, “অন্য সব দলের প্রতিও যেন একইভাবে আচরণবিধি প্রয়োগ করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, কোনো দল যেন নির্বাচনী প্রচারণার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অন্য কোনো অনুষ্ঠানের নাম দিয়ে সামাজিক বা ভিন্ন কর্মসূচির আড়ালে প্রচারণা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে কমিশনকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দ্রুত আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হটলাইন বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাবও দিয়েছে এনসিপি।




