খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে সব ধরনের চেষ্টাই চালিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে রিজভী বলেন, “গতকাল থেকে আমরা শুনছি তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের এই নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রের নিরাপত্তা, স্বাধীনতার নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা ও জনগণের সব অধিকারের নিরাপত্তা। এই নেত্রী দেশকে ছেড়ে, দেশের জনগণকে ছেড়ে কোনো দিন যাননি। মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের হুমকি, হাসিনার ষড়যন্ত্রের পরও নিজের দেশের মাটি কামড়ে তিনি এখানে থেকেছেন, আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করেন, এই দোয়া আপনারা করবেন।”
তিনি বলেন, “আমরা টেলিভিশনে দেখলাম হাঁটতে হাঁটতে কারাগারের মধ্যে গেলেন তিনি (খালেদা জিয়া)। কি নির্মম নিষ্ঠুরতায় মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নিয়ে গেলো তারপরও তাকে টলানো যায়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা তাকে তারপরও ছাড়েনি। কারণ এ দেশটাকে তার (হাসিনা) পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করত; ব্যক্তিগত ব্যবহারের সম্পদ মনে করত; জনগণের টাকাকে নিজের টাকা মনে করত।”
বিএনপিনেতা রিজভী আরও বলেন, “সে (শেখ হাসিনা) মনে করেছে, তার পথের কাঁটা বোধহয় বেগম খালেদা জিয়া। তাই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যত ধরনের চক্রান্ত করা দরকার, সে সেটা করেছে। হেঁটে হেঁটে কারাগারের ভেতর গেলেন ফিরে আসলেন হুইল চেয়ারে, দিনের পর দিন তাকে হাসপাতালে কাটাতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা কোনো নিয়ম-কানুন, আইন তোয়াক্কা করেননি। সুধাসদন তার বাড়ি, তারপরও তার ছেলের নামে, মেয়ের নামে, ভাগিনার নামে, ভাগ্নির নামে, আত্মীয়স্বজনের নামে ৬০ কাঠা জায়গা নিয়েছেন।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘গুণি মানুষ’ আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, “সবাই তাকে সম্মান করে। তিনি নিজের দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। তার প্রতি সবারই আস্থা রয়েছে। কিন্তু তাকে এসব বিষয়ও দেখতে হবে; দেশের মানুষ যেন শান্তির সঙ্গে নিরাপত্তার সঙ্গে তার সন্তান বাইরে গেলে বা বাড়ির লোক বাইরে গেলে পরে নিরাপদে ফিরতে পারে— এ নিরাপত্তাটুকু মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে নিশ্চিত করতে হবে।”
হাটহাজারী উপজেলার মীরের খিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, উপদেষ্টা আবুল কাশেম, সদস্য সচিব মোকসেদুল মোমিন মিথুন ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাহেদুল করিম রনি।





