ভূমধ্যসাগরে আবারও মর্মান্তিক বিপর্যয়: অভিবাসী মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল এক হাজার
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অভিবাসীদের মৃত্যু যেন অব্যাহতই আছে। চলতি বছর এই বিপজ্জনক যাত্রায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতিটি নতুন দুর্ঘটনার সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। আইওএমের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরীয় রুটে এটি এক দশকের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সময়।
সবশেষ ঘটনায় ৮ নভেম্বর লিবিয়ার উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩ নভেম্বর জুওয়ারা থেকে যাত্রা করা জাহাজটি উত্তাল সাগরে উল্টে যায় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এরপর আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে শুরু হয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান।
বেঁচে যাওয়াদের বরাতে আইওএম জানায়, ডুবন্ত নৌকাটিতে ৪৯ জন অভিবাসী ও শরণার্থী ছিলেন, তাদের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে যাত্রার ছয় ঘণ্টা পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ছয় দিন সাগরে ভেসে থাকার পর মাত্র সাত জনের জীবন রক্ষা পায়— তাদের মধ্যে সুদানের চার জন, নাইজেরিয়ার দুই জন এবং ক্যামেরুনের একজন।
বাকি ৪২ জন এখনো নিখোঁজ, যাদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইওএম জানায়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসা, খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, “সুরমান এবং ল্যাম্পেডুসার সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর এই নতুন ট্র্যাজেডি আবারও প্রমাণ করছে— ভূমধ্যসাগরীয় রুট এখনো বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অভিবাসন পথ।”
সংস্থাটি আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো, নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন পথ তৈরি এবং উদ্ধার তৎপরতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে।




