বিএনপির দু’পক্ষের উত্তেজনায় সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপির মনোনীত ও বঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনার মধ্যে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদের সমর্থকদের উত্তেজনার মধ্যে সদর ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ সময় অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদ মোটরসাইকেল শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এতে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে তার কর্মী-সমর্থকরা উপজেলার বোনারপাড়ায় জড়ো হচ্ছিলেন। পথে ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ডাকবাংলা বাজার ও হাফানিয়ার মোড়ে তাদের বাধা, মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
নাহিদুজ্জামান নিশাদের অভিযোগ, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের কর্মী-সমর্থকরা কোনো কারণ ছাড়াই এই হামলা করেছে। ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে এবং হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার কর্মসূচি বানচালের জন্য নাটকীয়ভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিকল্পিত এ ঘটনার নিন্দা ও বিচার চাই।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফারুক আলম সরকারের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
১৪৪ ধারা জারির পর বোনারপাড়া বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে বলে সাঘাটা থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান।




