ধানমন্ডিতে ‘মারধরের শিকার’ নারী জুলাই আন্দোলনের মামলায় কারাগারে
ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে ‘মারধরের শিকার হওয়া’ নারীকে জুলাই আন্দোলনের সময়কার এক হত্যাচেষ্টার মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র শুক্রবার সালমা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সালমা ইসলামের আইনজীবী আবুল হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাংচুরের সময় মারধরের শিকার হন সালমা ইসলাম। তাকে পুলিশ তাকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার আটকের পর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, এই নারী নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে সেখানে আসে এবং বিভিন্ন সময় মিছিলে অংশ নেয়।
একবার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, সালমা নানাভাবে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করে।
ইউরোপিয়ান ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী আবু সাইদ মু. সাইম হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার সালমাকে আদালতে তোলেন তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই আনোয়ার মিয়া।
সালমা ইসলামের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করেন বলে জানান আবুল হোসাইন পাটোয়ারী।
মামলায় বলা হয়েছে, গত বছরের ১৯ জুলাই সকাল পৌনে ১১টার দিকে ধানমন্ডি থানার সাতমসজিদ রোডে মিছিলে অংশ নেন সাইম। সেখানে পিঠে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গত ১ ডিসেম্বর ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন তিনি।




