ইতিহাস সৃষ্টি করা যায় না, ইতিহাস ধারণ করতে হয়: ডা. জাহিদ
রাষ্ট্র মেরামত মানে কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, বরং গোটা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, গণতন্ত্রের পুনর্গঠন ও জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস সৃষ্টি করা যায় না, ইতিহাস ধারণ করতে হয়। যে ইতিহাস ধারণ করে, সেই ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর শহরের ৭ নম্বর নিউ টাউন এলাকার প্যারাডাইস কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির আয়োজনে সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি। এতে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, পেশাজীবী ফোরাম, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজ অনেকে সংস্কারের কথা বলেন, পরিবর্তনের কথা বলেন। কিন্তু আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—বাংলাদেশে রাষ্ট্র মেরামতের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি প্রথম দিয়েছে বিএনপি।
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ‘রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা কর্মসূচি’ ঘোষণা করে। এরপর ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ‘৩১ দফা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের রূপরেখা’ প্রকাশ করে।
ডা. জাহিদ বলেন, এই কর্মসূচিতেই আমরা স্পষ্ট করেছি—দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন করা হবে এবং প্রধানমন্ত্রী দুইবারের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এসব প্রস্তাব বিএনপিই প্রথম দিয়েছে। এখন যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তার সবই বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সারাদেশে ছাত্রজনতা ও জনগণের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটে। এরপর অনেকেই নানা মতামত দিচ্ছেন, কিন্তু বিএনপি অনেক আগেই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরেছিল।
বিএনপি সবসময় জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুসংস্কার ও কুসাশনের পথ থেকে বেরিয়ে এসে একটি সুশাসিত, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই আমাদের আন্দোলন।
সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপির আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তারা দলীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে মাঠে সংগঠিত আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদক, স্থানীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক, সুধীজন ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।




