চাঁদাবাজের সঙ্গে জোট নয়, তার চেয়ে মৃত্যু ভালো: হাসনাত আবদুল্লাহ
বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, চাঁদাবাজদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যুই ভালো। তিনি জানিয়েছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় চাঁদাবাজিতে জড়িত, তাদের সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই জোট করা যাবে না।
সোমবার রাতেই চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি অনেক কষ্টে দল টিকিয়ে রেখেছে, তবে তাদের অনেক নেতাকর্মী নিজেদের দলের নেতাদের দ্বারাই কোনঠাসা। অনেক সময় তারা এনসিপির নেতাদের কাছে এসে বলেন, ‘তোমরাই দেশটাকে সঠিক পথে নাও, আমাদের দলটা ছিনতাই হয়ে গেছে’।
হাসনাত আবদুল্লাহ উল্লেখ করেন, বিএনপির মধ্যে এখনও অনেক ভালো মানুষ আছেন, যারা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন। জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসীরা কখনো চাঁদাবাজ হতে পারেন না। তিনি জানান, এনসিপি সেই সৎ ও দেশপ্রেমী মানুষদের দলে নিতে চায়।
নিজ দলের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভালো কাজ সবসময় অল্প সংখ্যক মানুষের মাধ্যমে শুরু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানেই কল্যাণকামী নয়—এ ধারণা ভুল। যারা শেখ হাসিনার সময় সংগ্রাম করেছে, তারাও সংখ্যায় কম হলেও ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেকেই কোরাম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আজকের উপস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, জেলার আট উপজেলার মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রতিনিধির উপস্থিতি হয়নি। তিনি বলেন, কোরাম করা লোকের প্রয়োজন নেই, ভালো দশজন কর্মী দিয়েই এনসিপির শক্তিশালী কমিটি গঠন করা যাবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তবে অনেকেই ব্যালট নয়, বুলেটের পথে হাঁটছেন। তারা ভয় দেখিয়ে মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন—যারা ভয় পায়, তারাই জনগণকে ভয় দেখায়; যারা ভয় দেখায়, তারা নিজেরাই সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে থাকে। সাহসী মানুষ কখনো ভয় দেখায় না, বরং মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম। সঞ্চালনা করেন জেলা জাতীয় ছাত্রশক্তি নেতা মো. সাগর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও কুমিল্লা অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক নাভিদ নাওরোজ শাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করার আহ্বান জানান এবং নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।




