এখন কোথায় আছেন, গাজায় পৌঁছাতে কত সময় লাগবে জানালেন শহিদুল আলম
গাজামুখী বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ রোববার (৫ অক্টোবর) উপকূলে পৌঁছানোর কথা থাকলেও আরও দেরি হবে বলে আগেই জানিয়েছেন বহরের অভিযাত্রী ড. শহিদুল আলম। তাই অনেকে প্রশ্ন করছেন—তাদের বহনকারী বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ কনসায়েন্স এ মুহূর্তে সমুদ্রের কোথায় আছে, গাজায় পৌঁছাতে তাদের আর কত সময়ই–বা লাগবে। এসবের জবাব দিয়েছেন আলোচিত এই অভিযাত্রায় অংশ নেয়া একমাত্র বাংলাদেশি ড. শহিদুল আলম।
রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম এসব প্রশ্নের জবাব দেন।
শহিদুল আলম লেখেন, প্রথম প্রশ্নের ক্ষেত্রে, সবচেয়ে ভালো উপায়, ট্র্যাকার ব্যবহার করে আমাদের যাত্রাপথ অনুসরণ করা। ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’, যার সঙ্গে আমরা আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ওপর একটি তদন্তমূলক ফিল্ম তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলাম—এই সাইটের মাধ্যমে কনশানস ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস উভয় নৌবহরের যাত্রাপথ ট্র্যাক করছে।’
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে শহিদুল আলম লেখেন, এর উত্তর নির্ভর করছে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) আমাদের ওপর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটার ওপর। অতীতের ঘটনাগুলো দেখলে বোঝা যায় যে তারা আমাদের যেতে দেবে না। আটক করা হতে পারে। এরপর আমাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে, নয়তো কারাগারে পাঠানো হতে পারে। কখন, কোথায় এটা ঘটতে পারে, তা আগে থেকে বোঝা অসম্ভব। এটা আমাদের হাতে নেই।’
এ ক্ষেত্রে ‘আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন’ উল্লেখ করে শহিদুল আলম পোস্টে আরও লেখেন, যদি আপনারা এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা আমাদের গাজায় পৌঁছানোর জন্য চাপ তৈরি করে, তবে সেটা হবে সর্বোত্তম ফলাফল। একমাত্র উপায় হলো ইসরায়েলের ওপর সাধারণ মানুষের পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ। কাজেই এবার আপনাদের সুযোগ, পদক্ষেপ নিন। এক হোন, প্রতিরোধ করুন। এটা অধিকার আর ন্যায়বিচারের জন্য একটি প্রচার। আমাদের একসঙ্গে এটা করতে হবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে আজ সকালে শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়ার কথাও ফেসবুক পোস্টে জুড়ে দিয়েছেন শহিদুল আলম।
শহিদুল আলম গাজা অভিমুখে থাকা কনশানস নৌযানে আছেন। কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’ ও ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)’ নৌবহরের একটি জাহাজ।
এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি। তবে তাদের বহরে কোনো খাদ্যসহায়তা নেই।





