আহমদ রফিকের কফিনে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
সদ্য প্রয়াত ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও জাতীয় কবিতা পরিষদের আয়োজনে আজ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয়েছে। এ সময় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষার্থী ও ভক্তরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এই প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্বকে।
পরে শোক র্যালির মাধ্যমে শেষ বিদায় জানিয়ে এই ভাষাসৈনিকের মরদেহ ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজে দান করা হবে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৯৬ বছর। তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল।
১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শাহবাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আহমদ রফিক। তার পিতা আবদুল হামিদ এবং মাতা রহিমা খাতুন। স্ত্রী ডা. এস কে রুহুল হাসিন।
১৯৫২ সালে তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ফজলুল হক হল, ঢাকা হল এবং মিটফোর্ডের ছাত্রদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলার কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সভা-সমাবেশ মিছিলে ছিলেন নিয়মিত।
১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রদের মাঝে একমাত্র তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
১৯৫৫ সালের শেষ দিকে প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে পড়াশোনায় ফেরেন আহমদ রফিক। এমবিবিএস ডিগ্রি নিলেও চিকিৎসকের পেশায় যাননি।
১৯৫৮ সালেই আহমেদ রফিকের প্রথম প্রবন্ধের বই ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন’ প্রকাশ হয়। তারপর লেখালেখিতেই জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন।
শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে রেখে গেছেন অমর অবদান। তিনি পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাঁকে প্রদান করে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।





