কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণার প্রজ্ঞাপন স্থগিত
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আতর্জাতিক বিমানবন্দর’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির ১১ দিনের মাথায় সেই প্রজ্ঞাপন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান চলাচল উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ বিষয়ে একটা দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. নুর-ই-আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মৌখিকভাবে প্রজ্ঞাপন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী রোববার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর কক্সবাজারকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিদেশি পর্যটক টানতে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালে। ওই প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরটির রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট করা হয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর বিগত আমলের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও কক্সবাজার বিমানবন্দরটির নির্মাণকাজ থেমে থাকেনি। গত মার্চে এ বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্তাব্যক্তিরাও দফায় দফায় নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে সেখানে গেছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপক তোড়জোড় থাকলেও সেখান থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর তেমন আগ্রহ দেখায়নি এয়ারলাইনগুলো।
চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি গন্তব্যের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চললেও কক্সবাজার থেকে এ ধরনের ফ্লাইট চালানো এয়ারলাইনগুলো বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক মনে করছে না। বেসরকারি এয়ারলাইনগুলো আগ্রহ না দেখালেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চলতি মাস থেকেই কক্সবাজার থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা ফ্লাইট চালানোর কথা ছিল। তবে সেই ফ্লাইট ওড়ার আগেই ‘আন্তর্জাতিক’ মর্যাদা হারাল কক্সবাজার।




