টেকনাফে মানবপাচার চক্রের ১৪ জিম্মি উদ্ধার, স্বামী-স্ত্রীসহ আটক তিনজন
মানব পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরী ও নোয়াখালীপাড়ায় অভিযান চালিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতে জিম্মি থাকা ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্ট্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান। এর আগে শনিবার রাতে দুই দফা অভিযানে তাদের জিম্মিদের উদ্ধার ও পাচারচক্রে জড়িত তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- টেকনাফ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু তাহের (৬৯), তার স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৮) এবং উত্তর জালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ শফি (৩২)। তারা মানব পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্য বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার আবু তাহেরের বাড়িতে ও দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ শফির বাড়িতে অভিযান চালায় তারা। এসময় সেখানে জিম্মি থাকা অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। বাড়িটি ঘেরাও করে মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য আবু তাহেরসহ ২ জন পাচারকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
একই রাতে দক্ষিণ লম্বরী এলাকার আরেকটি বাড়িতে অভিযানে নামে বিজিবি। সেখান থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় পাচার চক্রের সদস্যরা। তবে ওই বাড়ির মালিক অভিযুক্ত মোহাম্মদ শফিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
অধিনায়ক লেফটেন্ট্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “মানব পাচার বিরোধী অভিযানগুলোই বিজিবির দৃঢ় অবস্থানের স্পষ্ট বার্তা, যে কোনো অপরাধীর জন্যই টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থেকে সমুদ্রের জলসীমা পর্যন্ত এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ নয়। আমাদের এই ধারাবাহিক ও কঠোর নজরদারি এবং সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
উদ্ধার হওয়া ১৪ ভুক্তভোগীকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী আটকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





