স্বস্তি নেই বাজারে, সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা

রাজধানীর সবজির বাজারে ক্রেতারা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। সবার মুখে একটাই কথা, স্বস্তি নেই বাজারে, সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা!
গত তিন মাস ধরে সবজির দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে বরবটি, করলা ও কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজিতে শতক অতিক্রম করেছে। অন্যান্য সবজির দামও মূলত ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে নেই।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, প্রতি কেজি পটল ৮০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৮০ টাকা, প্রতি কজি পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া, প্রতিকেজি বরবটি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শাসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, কঁচু প্রতি কেজি ৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা, কঁচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সবজির দাম বাড়তি থাকায় আমাদেরও ব্যবসা কমে গেছে। যে ক্রেতা আগে এক কেজি করে সবজি কিনতেন, তিনি এখন আধা কেজি করে সবজি কিনছেন। বলতে গেলে আধা কেজি করে সবজি কেনা ক্রেতার সংখ্যায় এখন বেশি। আগে যেখানে সারা দিনে এক আইটেম সবজি ২০ কেজি বিক্রি করতাম, এখন সেই সবজি সারাদিনে বিক্রি হয় ৫ কেজি। ফলে আমাদের ব্যবসাও আগের চেয়ে কমে গেছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী এক মধ্যবিত্ত জানান, “দাম এত বেশি, সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সবজি কেনা খুবই কঠিন। আধা কেজি করেও কিনতে হচ্ছে।”
মগবাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, “বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ, তাই নতুন মৌসুমের সবজি বাজারে আসা পর্যন্ত দাম বাড়তি থাকবে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না।”
এতে সাধারণ মানুষ বিশেষত মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের ক্রেতারা চরম প্রভাবিত হচ্ছেন। বাজারে এই ধরনের অমূল্যতা দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে ক্রেতাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে।