ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ শিক্ষা উপদেষ্টার

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার। পাশাপাশি তিনি আশু সমাধানের আশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কতগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সেটিতে মন্ত্রণালয় অবহিত রয়েছে। অবশ্যই তার দ্বারা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সেটাতে আমরা যথেষ্ট রকমভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যেকোনো সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেটা সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, দ্রুত এর সমাধান হবে। বিভিন্ন পার্টি তারা একে অপরকে বুঝে অবস্থান বদলিয়ে সর্বজনগ্রাহ্য একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন এবং যত দ্রুত সেটা হয়, ততই মঙ্গলজনক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জানিয়ে উপদেষ্টা আবরার বলেন, আশা করি, কোনো সাহায্য-সহযোগিতার দরকার হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা এক্সটেন্ড করা হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে- আপনারা ধৈর্যের সাথে, সহিষ্ণুতার সাথে যেন সমাধানগুলো খুঁজে পাওয়া যায়, তার দিকে ধাবিত হওয়া যায়- তার দিকে আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় তিনি বলেন, চলমান সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ে সমাধান করা হবে এবং এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা।
গত কয়েকদিন ধরে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘাতে জড়িয়েছে। শনিবার রাত থেকে পরদিন পর্যন্ত চলা এ সংঘাতে কয়েকশ শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে দুজন লাইফ সাপোর্টে আছেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশু পালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিতে আন্দোলন করছেন। রোববার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এর সুরাহা না হওয়ায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে উপাচার্যসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে আটকে রেখে তালা মেরে দেন আন্দোলনকারীরা।
একপর্যায়ে সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের পাশ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ জন বহিরাগত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে, তখন বহিরাগতরা তালা ভেঙে দিলে অবরুদ্ধরা বেরিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।