‘তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিগগিরই দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তারেক জিয়ার কাছ থেকে মনোবল পাই, সাহস পাই ও হিম্মত পাই। এই হিম্মত মনোবল ও সাহসের কারণে আমরা বলতে পারি– আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সেখানে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। আর এই জনগণের সরকারের নেতৃত্বে দেবে বিএনপি। তারেক রহমান খুবই শীঘ্রই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বে দেবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (তারেক) বর্তমান যে রাজনীতির দরকার, জনগণের প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে ও দেশের প্রয়োজনে এবং দলের প্রয়োজনে যে স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য সকল পরিকল্পনা করছেন, সে অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম বছরে কীভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন, ১৮ মাস বা এক বছরে কী করবেন সে পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারেক জিয়া। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা এবং স্বৈরাচারী চিন্তা-ধারা নিয়ে কতৃত্ববাদী শাসনে থাকবে না। সে চিন্তা থেকে বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায় তৈরি, নতুন ধারা প্রস্তুত করার জন্য সবাইকে বারবার সজাগ করছেন তারেক জিয়া। প্রতিদিন তারেক রহমান যে কথাগুলো বলছেন–এগুলো হলো এখনকার রাজনীতি। এর বাহিরে অন্য কিছু চিন্তা করি না। অন্য কিছু চিন্তা করতে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। তাই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানে নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাড়াঁবে।
এসময় গণমানুষের দল হিসেবে বিএনপি সবসময় দেশের মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ্যানি বলেন, ‘বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে পারেনি। তারা একটি ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী শাসক, স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে একটি অরাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। হাসিনা কাউকে ছাড় দেয়নি। কারণ দেশ শাসন দেশের প্রতি তার ভালোবাসা, দেশের মানুষের প্রতি দরদ, এটা হাসিনা কখনো চিন্তা করেনি। হাসিনা এ বাংলাদেশে এসেছে তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। আর সে অনুযায়ী গত ১৭ বছর ধরে গুম, খুন ও নির্যাতন করে আসছিল ফ্যাসিষ্ট হাসিনা। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যান তিনি।