গাজায় দুর্ভিক্ষ নেই, দাবি অর্ধেক ইসরায়েলির

গাজায় দুর্ভিক্ষের বাস্তবতা অস্বীকার করছেন প্রায় অর্ধেক ইসরায়েলি—এমন তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক জনমত জরিপে। শুক্রবার (১ আগস্ট) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম মারিভে প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, ৪৭ শতাংশ ইসরায়েলি মনে করেন গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।
লাজার রিসার্চ পরিচালিত জরিপে আরও জানা যায়, ৪১ শতাংশ ইসরায়েলি গাজায় একটি মানবিক সংকট স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আর ১৮ শতাংশ বলেছেন, তারা উদ্বিগ্ন নন। ১২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নন।
এই জরিপ এমন সময় প্রকাশিত হলো, যখন জাতিসংঘ, ইউনিসেফ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) একযোগে গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির ব্যাপারে সতর্ক করছে।
ইউনিসেফের উপমহাপরিচালক টেড চায়বান জানিয়েছেন, গাজা এখন দুটি দুর্ভিক্ষ সূচকে পৌঁছে গেছে। দীর্ঘ সময় খাদ্যহীনতা ও মারাত্মক অপুষ্টি। তিনি বলেন, গাজা শহরে প্রতি তিনজনের একজন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছেন। মারাত্মক অপুষ্টির হার ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশু চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতিসংঘ ও ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, উত্তর গাজায় শিশু মৃত্যুহার বাড়ছে এবং খাদ্যের ঘাটতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।
জরিপের ফলাফল প্রকাশের দিনই বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। প্যারিসে বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধ থামানো এবং গাজায় সাহায্য পাঠানোর ওপর আরোপিত বাধা তুলে নেওয়ার দাবি জানান। মারাকেশে শত শত মানুষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে গাজাবাসীর পক্ষে রাস্তায় নামেন। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি নাগরিকদের সংগঠন অবরোধ সম্পূর্ণ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়।