থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় রাজি: ট্রাম্প

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তপ্ত সীমান্ত সংকট নিরসনে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মত হয়েছে, জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ফুমথমের সঙ্গে ফোনে আলাপের পর দুই দেশ শান্তি আলোচনায় রাজি হয়েছে।
ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে বলেন, তিনি দুই নেতাকেই সংঘাত বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর জবাবে উভয় পক্ষ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে থাই প্রধানমন্ত্রী পাল্টা বার্তায় জানান, “যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি রয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সময় এখনও স্পষ্ট নয়।”
এর আগে কম্বোডিয়া জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে থাইল্যান্ডকে আলোচনার প্রস্তাব পাঠালেও তা ফিরিয়ে দিয়েছিল ব্যাংকক। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, শান্তি আলোচনার পূর্বশর্ত হলো কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা প্রমাণ।
এ সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আসিয়ান নেতৃত্বাধীন মালয়েশিয়াও শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তিনিও নিজে সরাসরি জড়িত থাকবেন।
এদিকে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক শক্তির দিক দিয়ে থাইল্যান্ড অনেক এগিয়ে। তাদের আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ও গ্রিপেন রয়েছে, সেনাসংখ্যাও কম্বোডিয়ার তুলনায় প্রায় তিনগুণ। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার বাহিনী পুরানো সোভিয়েত ট্যাংক ও চীনা সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূরাজনৈতিক অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। থাইল্যান্ড ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, আর চীনের প্রভাব বলয়ে রয়েছে কম্বোডিয়া। ফলে এই সংঘাত কেবল আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক শক্তির প্রভাবও এতে জড়িত।