বুক পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই: ইসলামি দলগুলোকে রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনূস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেননা এই সরকার শেখ হাসিনার মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না।’
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই–আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহীদ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
ইসলামি দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দুয়েকটি ইসলামি দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। এখন আপনারা টার্গেট করেছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই। তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদেরই ওপর অনেক কিছু নেমে আসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামের নাম নিয়ে কারা সুযোগসন্ধানী কাজ করবেন এটা মানুষ জানে। ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে কারা আজেবাজে কথা ছড়াচ্ছে, এটা তাঁরা জানেন।’ এ সময় তিনি নেতা–কর্মীদের এসব উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানান।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘আমরা গত ১৬ বছর লড়াই করেছি। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? আমরা চাই দেশে আইনের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক। একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক—এটা জনগণ চাচ্ছে।’
ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী জানান, ‘মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ বছরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নেতৃত্ব গণতন্ত্রের মাঠ প্রস্তুত করেছেন। সেই পটভূমির ওপর জুলাই আন্দোলন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আপনারা যখন অপপ্রচার আর কুৎসায় নেমেছেন, তখন বিএনপির নেতা–কর্মীরা জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ১০ পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ৃআতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান, বিএনপির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, শফিকুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান (হাসিব), সাইফুর রহমান (রানা) প্রমুখ।