শুল্ক-কর জমা দিতে অনলাইন প্ল্যাটফরম ‘এ-চালান’ সেবা চালু

অর্থবছরের শুরুতে আমদানি-রপ্তানিকাজে সংশ্লিষ্ট শুল্ক-কর এখন থেকে অনলাইনে ‘এ-চালান’ এর মাধ্যমে সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ এক প্রেস বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এনবিআর বলছে, এমন উদ্যোগের ফলে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা এখন ঘরে বসেই ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহের ৭ দিন যে কোনো স্থান থেকে অনলাইনে শুল্ক-কর জমা দিতে পারবেন। ফলে রাজস্ব আদায় ও পণ্য খালাস প্রক্রিয়া হবে আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী। এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড (কাস্টমস অটোমেশন সিস্টেম) এবং অর্থ বিভাগের আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমের মাধ্যমে অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সেবাটি চালু করেছে। এখন থেকে করদাতারা অনলাইন/অফলাইনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি কোষাগারে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে পারবেন।
বিদ্যমান আরটিজিএস (তাৎক্ষণিক লেনদেন ব্যবস্থা) ব্যবস্থায় অর্থ জমা হওয়ার প্রক্রিয়ায় সময়ক্ষেপণের কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হতো। এখন এ-চালান ব্যবস্থায় জমা করা অর্থ তাৎক্ষণিক সরকারি কোষাগারে পৌঁছাবে, যা সরকার অবিলম্বে ব্যবহার করতে পারবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ১ ও ২ জুলাই প্রশিক্ষণ শেষে ৩ জুলাই থেকে এই সেবা চালু হয়েছে। ওই দিন ৭৫টি বিল এন্ট্রির বিপরীতে ১৩ কোটি টাকার বেশি শুল্ক-কর সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হয়। দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের শাখা, বিশেষ করে সোনালী ব্যাংক কাস্টমস হাউস থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।এই ওয়েব-ভিত্তিক এ-চালান সিস্টেমে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, এমক্যাশ, ট্রাস্টপে ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি দেশের ৬১টি ব্যাংকের ১১ হাজার ৭০০ এর অধিক শাখায় চেক ক্লিয়ারিং বা অ্যাকাউন্ট ডেবিটের মাধ্যমে শুল্ক-কর দেওয়া যাবে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল কমলাপুর আইসিডি কাস্টমস হাউসে এ ব্যবস্থার পাইলটিং শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে পানগাঁও কাস্টমস হাউসে চালু হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ছিল তৃতীয় স্টেশন। আগামী ৭ জুলাই ২০২৫ থেকে ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউসে এ পদ্ধতি চালু করা হবে।
এ উদ্যোগের ফলে রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি সরকারের অর্থ ব্যবস্থাপনা আরও সুশৃঙ্খল ও দক্ষ হবে বলেও মনে করে এনবিআর।