সুনামগঞ্জে নারী নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ: বসতবাড়ি ভাংচুর

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নারী নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই পক্ষের বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে এই গ্রামের বাসিন্দাগনের মধ্যে উৎবেগ আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ফজলু মিয়া ও জহুর আলম এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পূর্বেও ৪-৫ বার সংঘর্ষ হয় এই দুই পক্ষের মধ্যে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, হোসেনপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার ভাই রাশিদ মিয়ার ছেলে সোলেমান মিয়ার সাথে একেই গ্রামের জহুর আলম এর মেয়ে বিপাশার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘ তিন বছর এই সম্পর্কে পর গত গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জহুর আলমের মেয়ে সোলেমানের বাড়িতে গিয়ে উঠে। পরে ছেলে পক্ষের লোকজন মেয়ের বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ছেলে ও মেয়ে গোপনে পালিয়ে বিয়ে করে সংসার করছিল। এর মধ্যে মেয়ের বাবা মেয়ে অপহরণ, ধর্ষণ মামলা করে। পরে পুলিশ মেয়েকে র্যাবের এসহযোগিতার ভৈরব থেকে উদ্ধার করে আর ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
এরপরও মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবারে হামলা চালায়। এরপর ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবারেও হামলা চালায়। ৫/৬ বার পাল্টাপাল্টি হামলা চলে। এ নিয়ে দু পক্ষে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এর জের ধরে আবারও দেশীর অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষে ১০/১২ বসত বাড়ি ভাংচুর হয়। ও দুটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এসময় হোসেনপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে রাকাব উদ্দিন (২০) সহ ১০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন নেতৃত্ব একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।