গাজায় হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী

গাজায় আবাসিক এলাকা, শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে হামলা করছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। রোববার (১৮ মে) কয়েক ঘণ্টার হামলায় ১৩৫ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। নিহতদের মধ্যে ছিল চারটি নবজাতক।
এদিকে হাসপাতালে হামলার পর সেখানেও অবরোধ বসিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা। এখন আহতরা বঞ্চিত হচ্ছে সেবা থেকে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বিমান হামলার পাশাপাশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, রাফা ও দক্ষিণে খান ইউনিসের একাধিক এলাকায় হামলা করা হয়। হামলায় প্রচুর মানুষ আহত হয়েছে। কিন্তু আহতদের চিকিৎসার কোনো উপায় নেই। রয়েছে ওষুধের তীব্র সংকট।
আড়াই মাসের অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে আছে গাজার বাসিন্দাদের জীবন। ত্রাণ ও ওষুধের কোনো সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ক্ষুধা ও তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে অঞ্চলের শিশুরা। জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে, চরম দুর্ভিক্ষে পড়তে যাচ্ছে গাজা। এরইমধ্যে গাজায় নিজেদের অভিযান আরও তীব্র করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি তীব্র করেছে অবরোধও। এখন গাজার হাসপাতালগুলোও অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পথে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এএফপি জানায় এতে গাজার উত্তরাঞ্চলের সব হাসপাতালে সেবাদান বন্ধ হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলের বাহিনী ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশেপাশে অবরোধ তীব্র করেছে। হাসপাতালের আশেপাশে আগুন দিয়ে দেয় ইসরায়েলের বাহিনী। এতে রোগী, চিকিৎসক এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যা কার্যকরভাবে হাসপাতালটিকে বন্ধ করে দিয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গাজার উত্তরাঞ্চলে সব সরকারি হাসপাতালে এখন পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিনাঞ্চল পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান শুরু করেছে তারা। হামাসের ৬৭০টি এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনী।
ইসরায়েল দাবি করে, হামলায় একাধিক ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ ধ্বংস হয়েছে। নিহত হয়েছে ‘ডজনখানেক সন্ত্রাসী।’