চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বা এনসিটির ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
যুব অর্থনীতি ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হাসান এ রিটে করেছেন বলে মঙ্গলবার (২০ মে) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।
রিটে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আইন লঙ্ঘন করে দেশীয় অপারেটরদের অনুমতি না দিয়ে চট্টগ্রাম নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে যে কোনো অপারেটরকে কনটেইনার টার্মিনাল হ্যান্ডলিং পরিচালানার দায়িত্ব দেওয়ার আগে আইন অনুসারে ন্যায্যভাবে নিলাম আহ্বানের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সে মর্মেও রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
রিট আবেদনে নৌ পরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির সিইওকে বিবাদী করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের আরও জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে আগামী রোববার (২৫ মে) শুনানি হতে পারে।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে এ টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার জন্য দুবাইভিত্তিক একটি বিদেশি কোম্পানিকে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেটিই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আবার গতি পেয়েছে-এমন খবরে অনেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।
‘যদিও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলমান। সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’





