ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বহাল থাকবে, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তিন দফা অন্তর্বর্তী নির্দেশ অনুযায়ী ঘোষিত ওয়াকফ বিলের সম্পত্তি বহাল থাকবে। এই মামলা চলাকালীন আদালত ঘোষিত ওয়াকফের চরিত্র বদল করা যাবে না।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা দুটো থেকে বিকেল প্রায় চারটে পর্যন্ত শুনানি চলার পর তা স্থগিত হয়। বৃহস্পতিবার বেলা দুটো থেকে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ সম্পর্কে আরও শুনানি চলবে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী কালেক্টর কোনও বিতর্কিত সম্পত্তি সম্পর্কে তদন্ত চালিয়ে যাওয়াকালীন সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলা যাবে না, এই ব্যবস্থা আপাতত স্থগিত থাকবে। সব ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে এক্স অফিসিও মেম্বার বা সরকারি প্রতিনিধি ছাড়া বাকি সদস্যরা মুসলিম হবেন।
এদিকে শুনানিতে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে সেগুলো যথাক্রমে:
১. এতদিন যে সম্পত্তিগুলো ওয়াকফ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর চরিত্র একই থাকবে কি?
২. শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কী করে বহু সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, প্রশ্ন আদালতের।
৩. সরকার নিয়োজিত অফিসার তদন্ত সাপেক্ষে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত সেটিকে ওয়াকফ না বলার বিধান কি যুক্তিসঙ্গত?
৪. আদালত কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ স্বীকৃতি দিলে তা এই আইন অনুযায়ী বাতিল করা যায় কি?
৫. নয়া সংশোধনী সূত্রে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য কি মুসলিম হওয়া উচিত?
১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন চ্যালেঞ্জ করে হওয়া শতাধিক মামলা বিভিন্ন হাইকোর্টে বিচারাধীন। চলতি জনস্বার্থ মামলাগুলোর সঙ্গে সেই মামলাগুলোরও একসঙ্গে শুনানি হওয়া উচিত কি না প্রশ্ন তুলেছে খোদ সুপ্রিম কোর্ট।