সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কড়া বার্তা দিল তৃণমূল। সূত্রের খবর, খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়াকে ‘সংযত’ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। দলেরই এক শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বারা ফোনে এই বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে জানা গিয়েছে। আর যদি সংযত না হন তাহলে পার্টি চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, সাসপেন্ড করার মতো চূড়ান্ত বার্তা দেওয়া হয়েছে মহুয়াকে।
কেন মহুয়ার উপর ক্ষুব্ধ তৃণমূল?
নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেখানে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বচসা বাধে। তার জেরে মহুয়া মৈত্র কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মীকে নাকি সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের কথা বলেন। সেই নিয়ে কার্যত ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। এরপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠক থেকে তৃণমূলের সৌগত রায়, কীর্তি আজাদকেও আক্রমণ শানান।
কিন্তু এই ঘটনার পর দলের তরফে প্রথমে কোনও ‘স্ট্যান্ড’ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে জানা যায়, সুপ্রিমো কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, মহুয়ার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তিনি যদি নিজেকে সংযত না করেন, তাঁর বিরুদ্ধে দল চরম পদক্ষেপ করবে। এমনকী, সাসপেন্ড করতেও দ্বিধাবোধ করবে না দল।
তবে দলের অন্দরে মহুয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ নতুন কিছু নয়। বিশেষত তাঁর জেলায়! দলেরই একাধিক নেতা থেকে বিধায়করা তাঁর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখে নালিশ জানিয়েছিলেন। শেষমেশ এই কল্যাণের সঙ্গে তাঁর বচসা নিয়ে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও, এই নিয়ে মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর তরফে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।