মার্কিন মুলুকে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানির উপর পারস্পিক শুল্ক আরোপের মার্কিন পদক্ষেপ আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেবে। বৃহস্পতিবার লোকসভায় নিজের ভাষণে বললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এদিন নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিদেশ নীতির সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “আপানারা চিনকে ৪ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার জমি উপহার দিয়েছেন। অন্যদিকে আমাদের বন্ধু দেশ আচমকা আমাদের উপর শুল্ক আরোপ করল, ২৬ শতাংশ শুল্ক। যা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে, আমাদের শিল্পকে ধ্বংস করবে, বিশেষত ওষুধ শিল্পকে।” মার্কিন শুল্ক নীতির জবাবে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন? প্রশ্ন রাহুলের।
এদিনের বক্তব্যে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নিজের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ টানেন রাহুল। বলেন, “বিদেশনীতি নিয়ে তাঁকে (ইন্দিরাকে) একজন প্রশ্ন করেছিলেন, ডানে না বাঁয়ে ঝুঁকতে স্বচ্ছন্দ তিনি? ইন্দিরার উত্তর বলেছিলেন, আমি ডান বা বাঁয়ে ঝুঁকি না। আমি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পছন্দ করি। আমি একজন ভারতীয়, সোজা দাঁড়াই।” কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, বিজেপি আর আরএসএসের কৌশল আলাদা। তাঁদের যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, ডান দিক না বাঁ দিক? তাঁরা বলেন, “না-না-না, আমরা সমস্ত বিদেশি শক্তির সামনেই মাথা নত করি।” এরপর কংগ্রেস সাংসদ কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চান। বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র?
প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে আছড়ে পড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শুল্ক-বোমা’। রাশিয়াকে ছাড় দিয়ে চিন, ব্রিটেন-সহ নানা দেশের উপর কর চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই তালিকায় রয়েছে ‘বন্ধু’ ভারতও। নয়াদিল্লির উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প বলেছেন, “ওরা যা কর চাপায় এটা তার অর্ধেক। আমরা ছাড় দিয়ে শুল্কের পরিমাণ নির্ধারণ করেছি।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই শুল্ক ঘোষণার দিনটিকে ট্রাম্প আগেই ‘মুক্তি দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন।