আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে
নিজ জন্মস্থানে গিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দুঃশাসন-জুলুমের কারণে গত ২৪ বছর এখানে এসে সালাম দিতে পারিনি। আমাকে কুলাউড়ার মানুষ যেভাবে চেনে, অন্য কেউ সেভাবে চেনে না। আমি কি যুদ্ধাপরাধী? অথচ আমার নামে যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ১২ বছর।
সাড়ে ১২ বছরের মানুষ যুদ্ধের সময়ে ১৪ মাইল দূরে গিয়ে কি মানুষ খুন করতে পারে?’
গত মঙ্গলবার বিকেলে কুলাউড়া ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের মধ্যে যাঁদের বাড়ি গিয়েছিলাম তাঁদের জিজ্ঞেস করেছি কেমন আছেন, তাঁরা শুধু টপটপ করে চোখের পানি ফেলেছেন।
তাঁরা খুনিদের বিচার চেয়েছেন, আর তাঁদের স্বজনরা যে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, সেই দেশ চেয়েছেন। শহীদ পরিবারের প্রত্যাশা অনুযায়ী, দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠনে আমাদের লড়াই শেষ হয়নি, এখন থেকে শুরু হলো।
’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘বিগত জালিম সরকারের আমলে আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। সাড়ে ১৩টি বছর দলীয় অফিস সিলগালা করা হয়েছে। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করে ১ আগস্ট দিশাহারা হয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় আল্লাহকে বলেছিলাম, আল্লাহ তুমি বিচার করো, ঠিক চার দিন পর আল্লাহর বিচার হয়েছে।
’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী চাই না, যাদেও ভেতর মনুষত্ব নেই। আমরা চাই প্রকৃত মানুষ। যাঁরা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন, তাঁদের প্রয়োজন। দল, মত নির্বিশেষে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে লড়াই শুরু হয়েছে।’ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুনতাজিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট মহানগরীর আমির ফখরুল ইসলাম, জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুর রহমান প্রমুখ।





