যৌন নিপীড়ন বন্ধে আলাদা হটলাইন চালু করা হবে

রাস্তাঘাটে নারীদের যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রোববার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, নারীদের সঙ্গে রাস্তাঘাটে যে যৌন নিপীড়ন, হয়রানি করা হয় সে বিষয়ে প্রতিকার নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত আলাদা একটা হটলাইন দেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটা করা হবে।
রাস্তা-ঘাটে যেকোনো ঘটনা ঘটলে সেই হটলাইনে অভিযোগ দেওয়া যাবে। এটা তদারকি জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেডিকেটেড একটি সেল থাকবে। এছাড়া ধর্ষণ মামলা তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের একটা আলাদা সেল থাকবে। যাতে অযথা কালক্ষেপণ না করা হয়, বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দিনাজপুরের শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবৎজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম ৮ বছর ৪ মাস জেলে থাকার পর জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছে। হাইকোর্ট একটা স্বাধীন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। সেটার সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে হাইকোর্ট জামিনের আদেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের যা করণীয় ছিল সেটা করেছে। এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। এর ফলে হাইকোর্টের যে জামিনের আদেশ আপিল বিভাগ সেটা বাতিল করে দিয়েছে। এরকম অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে এ রকম জামিনের ঘটনা ঘটে, সেটা সন্ত্রাসী হোক, জঙ্গি হোক বা ধর্ষণকারী হোক আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আপিল বিভাগে যাই। আমাদের যেটা করার আমরা সেটা সম্পূর্ণভাবে করি।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে নারীর প্রতি যে সহিংসতা, নির্যাতন হচ্ছে, রেপ হচ্ছে এটা কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না। বর্তমান সরকার এই ধরনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করবে। যেকোনো ধরনের যৌন হয়রানি বন্ধের জন্য সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আইন সংশোধনের যে বিষয়টি বললেন, সেটা হয়েছে নাকি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকে সকালে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আরো আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। আশা করছি সপ্তাহ খানের মধ্যে একটা ড্রাফট করে ফেলবো। যা পাস হতে হয়ত আরো কয়েক দিন সময় লাগবে।
আছিয়ার ঘটনায় কত দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করবেন, এরইমধ্যে একটা দাবি উঠেছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার করতে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা যতদ্রুত সম্ভব করবো। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টা হলো, অনেক সময় দ্রুত বিচার করতে গিয়ে অনেকক্ষেত্রে অবিচারও হতে পারে। এজন্য আমরা অর্ধেক সময় কমানোর লক্ষ্য রেখেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে মাগুরার বিষয়ে সবাই মিলে কাজ করলে তারও অনেক আগে কাজ শেষ করতে পারবো।