পোল্যান্ডের সিদ্ধান্ত, পুরুষ হলেই আর্মি ট্রেনিং নিতে হবে

পোল্যান্ডের সকল পুরুষকে সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনার কাজ চলছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) পোলিশ পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক এ কথা জানান। তিনি বলেন, তার সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এর সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব এ বছরের শেষ নাগাদ এমন এক মডেল তৈরি করতে যাতে পোল্যান্ডের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষিত থাকে; যাতে এই রিজার্ভ বাহিনী সম্ভাব্য হুমকির তুলনায় যথাযথ ও কার্যকর হয়।’
টাস্ক বলেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সংখ্যা ৮ লাখ। রাশিয়ার প্রায় ১৩ লাখ। পোলিশ সেনাবাহিনীর আকার ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ করতে চান টাস্ক। আর এই সেনাবাহিনীতে রিজার্ভ সৈন্যরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন টাস্ক। তিনি বলেন, যারা সরাসরি যোগ দেননি তাদেরও কঠোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ সেনায় পরিণত করতে হবে। যাতে তারা যুদ্ধের সময় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকে।
পোল্যান্ড এ বছর প্রতিরক্ষা খাতে তার অর্থনৈতিক আয়ের ৪.৭ শতাংশ ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে, যা ন্যাটো জোটের মধ্যে সর্বোচ্চ। টাস্ক পার্লামেন্টে বলেন, এই ব্যয় ৫ শতাংশ জিডিপিতে উন্নীত করা উচিত।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেন যাতে প্রতিরক্ষা ব্যয় ৪ শতাংশ জিডিপিতে বাধ্যতামূলক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি পোল্যান্ডকে অটোয়া কনভেনশন থেকে প্রত্যাহার করার পক্ষে, যা অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ডমাইন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তিনি ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধকারী ডাবলিন কনভেনশন থেকেও বেরিয়ে আসার পক্ষে মত দেন।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালানোর পর থেকে পোল্যান্ড প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পোল্যান্ডের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। বেশিরভাগ পোল নাগরিক মনে করেন, ইউক্রেনকে সমর্থন করা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।