বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আবেদন থেকে জানা যায়, নসরুল হামিদ ও সীমা হামিদ পরস্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকা সম্পদ অর্জন করেছেন। যা ভোগ-দখলে রাখা এবং নিজ নামে ২০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক লেনদেন করে প্রাপ্ত উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে এই অর্থেরন রূপান্তর ও হস্তান্তর করায় দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তি যোগ্য অপরাধ করেছেন।
তদন্তকালে জানা যায় যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার পর থেকে আসামি তার ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা মতে, রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারামতে আসামির নামে অস্থাবর সম্পত্তি উত্তোলন, হস্তনান্তর বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত উক্ত অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।





