মা-মেয়ের বিভৎস হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন
রংপুরের পীরগঞ্জে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তারা অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের ফাঁসির দাবি জানান। রোববার শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক।
অভিযুক্ত আতিকুর রহমান (৩৫) পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়ার বাসিন্দা। নিহত নারীর নাম দেলোয়ারা বেগম (৩০) কথিত স্বামী।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের পাশে মরিচখেত থেকে নারীর মাথাহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার শিকার দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। দেলোয়ারার সঙ্গে বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে তারা গ্রামগঞ্জে যাত্রাপালা, গানবাজনা করে বেড়াতেন। যাত্রাপালার মাধ্যমেই ঝিনুক মালার পরিচয় হয়, হত্যাকারী প্রেমিকের আতিকুরের সঙ্গে। এরপর হত্যাকারী প্রেমিকার সক্ষতা গড়ে তুলে বনে যান তথা কথিত স্বামী। বিপত্তি ঘটে তখনই ঝিনুক মালা বিয়ে করে ঘর সংসার করতে চেয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। এতে অমত ছিলো প্রেমিক আতিকুরের। এ থেকেই দুটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় প্রেমিক।
দেলোয়ারা বেগম হত্যার ঘটনায় পুলিশ আতিকুর রহমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ থেকে দেলোয়ারা বেগমের খণ্ডিত মাথা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের বাড়ির পেছন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগানে পুঁতে রাখা শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরপরই আতিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মোকলেছুর রহমান বলেন, বড় বদনাপাড়ায় আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি টিনশেড তিন-চারটি ঘরে আগুন জ্বলছে। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, অভিযুক্ত আতিকুর রহমান মা-মেয়ের হত্যাকারী। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা আতিকুর রহমানের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে আমি শুনেছি।





