‘ভুল’ সময় জানিয়ে মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ, অপমানিত হয়ে মঞ্চ ছাড়লেন চরম ক্ষুব্ধ মন্ত্রী। ইচ্ছাকৃত ভাবেই অপমান করার চেষ্টা, এমনটাই দাবি করে ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী। অস্বস্তিতে বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি থেকে সাংসদ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর জেলার রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু, সূত্রপাত কোথা থেকে?
সূত্রের খবর, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল মন্ত্রীকে। তিনি হাজিরও হয়েছিলেন যথা সময়ে। কিন্তু তার আগেই ঘটা করে উদ্বোধন হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে অপমানে মঞ্চ ছাড়লেন মন্ত্রী। মঞ্চ ছাড়ার মুখে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন খোদ বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে। যার জেরে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হল সংসদ সভাপতি থেকে শুরু করে সাংসদকে।
বাঁকুড়া শহরের স্টেডিয়ামে এদিন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পত্রে উদ্বোধনের সময় সকাল ৯ টা লেখা থাকলেও রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে মৌখিকভাবে ১১ টা নাগাদ স্টেডিয়ামে আসার কথা জানানো হয়। সেই মতো এদিন ১০টা ৪০ নাগাদ মন্ত্রী স্টেডিয়ামে হাজির হলে দেখেন ততক্ষণে উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে অনুষ্ঠানের। বোঝা মাত্রই অপমানে তৎক্ষনাৎ মঞ্চ ছেড়ে নামতে শুরু করেন মন্ত্রী। সে সময় আয়োজকদের তরফে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার চেষ্টা হলে তাও তিনি ফিরিয়ে দিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে মাঠ ছাড়েন। এতেই তুমুল অস্বস্তিতে পড়ে যান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শ্যামল সাঁতরা ও বাঁকুড়ার সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী।
মন্ত্রীর দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে অপমান করার জন্যেই এমনটা করা হয়েছে। যদিও মন্ত্রীর অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমানে বাঁকুড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। তাঁর দাবি, মন্ত্রীকে উদ্বোধনের সঠিক সময়ই জানানো হয়েছিল। তিনি দেরি করে পৌঁছানোয় শিশু প্রতিযোগীদের কথা ভেবে মোটামুটি নির্দিষ্ট সময়েই উদ্বোধন করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে এই ঘটনাকে ‘সামান্য অভিমান’ বলে অস্বস্তি এড়িয়েছেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী।





