বুটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত পিএসজি গোলরক্ষকের মুখ
ক্রিকেটকে ভদ্রলোকের খেলা বললে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ফুটবল কি তবে অভদ্র লোকের খেলা? তাদের জন্য এই ভিডিওটিই হতে পারে বড় উত্তর। দুই পায়ের কারুকাজে মেসি নেইমার রোনালদোরা ফুটবলকে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় করলেও সেই ফুটবলের কিছু খেলোয়ারের এমন বাজে ট্যাকেল প্রশ্ন তোলে খেলাটি নিয়ে। প্রতিপক্ষ বলেই কি এভাবে আঘাত করা যায়?
অনেকে বলতে পারেন অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে এমন ট্যাকেল। তাদের জন্য ভিডিওটি আবারও একবার দেখার অনুরোধ। কোথায় বল আর কোথায় তার পা, আর কিভাবে আঘাত করা হয়েছে তার মুখে, এমন দৃশ্য কট্টর ফুটবল ভক্তের মনেও প্রশ্ন তুলবে এই খেলাকেই কি তিনি সমর্থন করে এসেছেন? পিএসজি গোলরক্ষকের এই আঘাতকে কোনোভাবেই ভিন্নভাবে দেকার সুযোগ নেই।
ফ্রেঞ্চ লিগে মোনাকোর বিপক্ষে ম্যাচের ১৭ মিনিটে ঘটে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা। মোনাকোর ডিফেন্ডার উইলফ্রিড সিঙ্গোর বুট সরাসরি আঘাত হানে দোন্নারুম্মার ডান চোখের নিচে। সিঙ্গোর নেয়া শট দোন্নারুম্মা আটকে দিলে রানিংয়ে তাকা সিঙ্গো নিজেকে আটকাতে না পেরে চেষ্টা করেন তাকে টপকে যেতে। কিন্তু তার বুটের তলার দিকটা সরাসরি দোন্নারুম্মার মুথে আঘাত করলে অনেকটা অংশই কেটে যায়, মাঠেই রক্তপাত শুরু হয়। পরে ১০টি স্টাপল দিয়ে কোনোরকমে জোড়া লাগানো হয় কাটা অংশ।
সাময়িক সময়ের জন্য এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে মেনে নিলেও যখন শুনবেন এতবড় একটা ঘটনা, যা কারনে খেলা বন্ধ থাকে পাচ মিনিট, কিন্তু আগেই হলুদ কার্ড দেখা মোনাকোর ডিফেন্ডার সিঙ্গোকে এবার রেফারি দেননি কোনো কার্ড। তখন তো স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলাটায় বড় অস্বচ্ছতা হয়ে যায়। অবশ্য এ নিয়ে ভালোভাবেই সমালোচনা করেছেন পিএসজি অধিনায়ক মারকিনিওস।
মোনাকোর ডিফেন্ডার সিঙ্গোকে কার্ড না দেখানোর বিষয়ে মারকিনিওসের সন্দেহ আছে রেফারির ঘটনাটা ঠিকমতো দেখেছেন কি না। তিনি মনে করেন ভিএআরের হস্তক্ষেপ করা দরকার ছিল। এভাবে আঘাতের পরও লাল কার্ড না দেখানোটাকে বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন পিএসজি অধিনায়ক মারকিনিওস।